Pages

এবার ভাঙল মনের ভুল

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা

এবার ভাঙল মনের ভুল
ধরার বুকে এলেন নামি ঠাকুর অনুকূল।।

নিষ্ঠা অনুগতির টানে যে যাবে গো তাঁরই পানে
মুক্ত হবে সকল জনে অসীম অতুল।

সর্বগতির পরম গতি সেই দয়াময় লোকপতি
পাপী তাপীর সন্তাপেতে তিনিই যে দেন কুল।।

আয় না যারা জীবনকামী হ' না তাঁহার অনুগামী
পরমদয়াল জীবনস্বামী ফোটান হিয়ায় ফুল।

সর্বনাশের আগল টুটে পড় না তাঁহার পায়ে লুটে
স্বস্তি পাবি, শান্তি পাবি জীবনে প্রতুল।।





১লা সেপ্টেম্বর ২০১৩

দয়াল এলেন নাম বিলাতে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপম মন্ডল


দয়াল এলেন নাম বিলাতে বিশ্বদুনিয়ায়
মুক্তি কে চাস, আয় না ছুটে পড় না তাঁহার রাতুল পা'য়।।

তাঁহার প্রেমের অপার মহিমা
থরথরিয়ে ভুবন কাঁপে এমন গরিমা।
সকল জনায় মুক্তি পেতে তাঁহার করুণা
তাঁর প্রেমে পাগল হ'ল ভুবন ঘরে থাকাই হ'ল দায়।
পরমপিতা পরমত্রাতার দয়ায় মরণ হয় রে জয়।
সর্বজনে মিলান তিনি করেন সদাই সমন্বয়।।

ওই দয়ালের দয়ালের দয়ার বাখান করা সেটা সহজ নয়
স্বর্গ-মর্ত্য এক করে আজ দূর করেছেন মরণ ভয়।
আকুল হলে আসছে সবাই পড়ছে তাঁহার রাতুল পা'য়
বাঁচতে কে চাস আয় না ছুটে ডাকেন দয়াল আয় রে আয়।।





১লা সেপ্টেম্বর ২০১৩

আজ বিশ্বধরা ধন্য হ'ল

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস


আজ বিশ্বধরা ধন্য হ'ল
ধন্য মোদের মাটির ঘর
মোদের মাঝে প্রকট হলেন
মূর্ত্ত প্রাণের অধীশ্বর।।

মন কাড়া ওই তার পরশে
ভরল হিয়া মহোল্লাসে
মরণ দূরে যায় তরাসে
ভুলল সবাই আপন পর।।

মুক্তিসুধার ছুটল তুফান
সকল বাঁধা টুটল রে
এমন ত্রাতা শান্তিদাতায়
প্রেমে সবায় বাঁধল রে।
এমন প্রাণের ঠাকুর ছেড়ে
কে আর দূরে থাকবে রে?

জয়গুরু জয়গুরু বলে
বিশ্বমানব ঐ তো চলে
নিত্য অরূপ প্রভুর লীলায়
ভক্তহিয়ায় সুখের ঝড়।

বরণ করে নে দয়ালে
তাঁহার জয়ধ্বণি কর।।



১লা সেপ্টেম্বর ২০১৩

परमपुरुष: प्रभु विश्वविधाता

কথা - ঋচীনন্দন চক্রবর্তী
সুর - প্রণব বিশ্বাস 

परमपुरुष: प्रभु विश्वविधाता
जीवन समरे प्रभु महान दाता
आर्तान जनान त्वं शक्तिदाता
प्रियतम: जगतकारण: अपूरयिता।।

करुणासिन्धु: प्रभु मम परम विभु
पुरुषोत्तम: त्वं करुणामय प्रभु
अमृतनामस्तव जगतपरिभु
नक्षत्रमण्डले त्वं सदा स्वयम्भू।।

प्राणप्रिय: चेतनामय: युगपरित्राता
आनन्दमय: ज्योतिर्मयः परमविधाता
उज्ज्वलमयः शोभनमयः लोकत्राता:
शुभमय: कल्याणमयः प्राणदाता:।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০১২


প্রিয় আমার প্রাণ আমার

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা


প্রিয় আমার প্রাণ আমার
        শাশ্বত নিরুপম
ওগো কল্যাণ আনন্দ রসঘন
দয়াল পূরণ পুরুষ নমঃ নমঃ।।

যে জন তোমার হয়
সব তার মধুময়
শান্তি স্বস্তি তার চির-অক্ষয়
অগতির গতি প্রভু অনুপম।।

তোমার পথেতে চলিয়া
তব শুভ নাম বলিয়া
সব বাধা পায়ে দলিয়া
সার্থকতায় কাটে যে মিথ্যা ভ্রম।।

পাপ, তাপ, দ্বেষ, ভয়
নিমেষে হল যে লয়
তব শ্রীচরণ আশ্রয়
কৃতার্থতায় ভরিল জীবন মম।।

তোমারেই শুধু চাহিয়া
তব শুভ নাম গাহিয়া
প্রভু মুক্তি সুধার প্রসাদে মগ্ন হিয়া
দীপ্তি তোমার অযুত সূর্য সম।।



১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

স্নিগ্ধ উজ্জ্বল দিব্য মনোহর

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা

স্নিগ্ধ উজ্জ্বল দিব্য মনোহর
        শুভ্র কলেবরধারী হে।
পতিত পাবন পরমেশ্বর ত্রিলোকপালী
        অবতারী হে।।

ক্ষমা করে তুমি শত অপরাধ
ঘুচালে মোদের যত পরমাদ
দয়া করে ঠাঁই দিলে শ্রীচরণে
         প্রাণেশ রক্ষাকারী হে।।

ক্লেদ ভরা এই মাটির ধরায়
নামিয়া আসিলে আপনি
জীবনের পথ দেখায়ে শেখালে
        ধৃতি সাত্বিক আচরণ-ই।।

দশ দিক ভরে নবীন আলোকে
শিহরিত ধরা স্বস্তি পুলকে
সদা জাগ্রত ভক্তবৃন্দ
        তব বন্দনাকারী হে।।




১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

जीवन कारण तुम ही हो

কথা -ধৃতিমান সিং
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

जीवन कारण तुम ही हो,
पालन पूरण तुम ही हो।

दया करो प्रभु दिन सहारा
जनम जनम रहूँ दास तुम्हारा
अभय चरण का ध्यान करे मन
निशदिन हरपल नाम तुम्हारा।।

माया जगत में करम का फेरा
आए सुख दुख चाहे अंधेरा
वहां करुँ प्रभु तेरी स्मृति को
पैन करुँ नित अमृतधारा।।

टुट गया अब बाधा-बन्धन
दूर हुए सब शंका वेदन
तेरे चलन से चलते है जब हम
उज्जवल करता जीवन हमारा।।

परमपिता मेरे जीवनस्वामी
जगतपिता हे परम नामी
तेरा चरण ही परम धाम है
 तुम से ही चेतन ये जग सारा।।




১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

प्रेम की ऐसी है पहचान

কথা -ধৃতিমান সিং
সুর - পূজনীয় বাবাইদা

प्रेम की ऐसी है पहचान
काल कर सके न जिसको म्लान
प्रिय-चाह में सबकुछ अपना
देने को आप्राण।।

चले जहाँ भी फिरे जहाँ भी
रहता मुख में प्रिय-कथन
सजग प्राण में एकतान में
चलता है बस प्रिय-मनन
प्रेष्ठ-स्वार्थ से पूरण-प्रवण
नहीं और कोई ध्यान।।

रहे जो सुख में पढ़े जो दुःख में
काम नहीं होती अनुरति
कष्ट अकाल भी महाकाल भी
अबाध करती जीवन गति
द्वन्द्व विघ्न और बाधा का भी
नहीं जहाँ कोई स्थान।।

भाव-भक्ति का कर्मशक्ति का
मूल सभी का प्रिय-उपभोग
(जो) मंगलमय परमप्रेममय
प्रेम उनसे ही मंगल-योग
प्रियपरम से ही अनुराग
जीवन में उत्थान।।




১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

दयाल गुरु मेरे

কথা -ধৃতিমান সিং
সুর - ধৃতিমান সিং


दयाल गुरु मेरे
तुम हो सुन्दर नियत सुखकर
करते हो उद्धार
तुम बिन मेरा नहीं सहरा
करोगे तुम ही पार।।

अब तो मुझ से सहा न जाये
शोक ताप प्रभु बहुत सताए
तुम देते हो आश्रय तब है
तुम करुणा अवतार।।

तुम से ही तो जीवन सारा
मंजील मेरी चरण तुम्हारा
तुम बिन मेरा कौन हरेगा
शंका ज्वाला भार।।

मेरे जीवन के तुम हो कारण
तुम से ही पाता सार्थक जीवन
पुरुषोत्तम प्रभु तुम हो प्रियतम
प्राण के आधार।।





১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

চড়েছি যে নামের তরী

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

চড়েছি যে নামের তরী, ভবসাগর দিয়ে পাড়ি
যাব দয়াল তোমার সনে এবার তোমার দেশে।।

তুমি যখন আছ সাথে ঝঞ্ঝা এলে কি ভয় তাতে?
ডুববো না তো মাঝদরিয়ায় রইব সদাই ভেসে।
তুমি দয়াল পৌঁছে দেবে এবার তোমার দেশে।।

চলার পথে সারাজীবন ঘাটে ঘাটে ভিড়ে,
তুমি দয়াল নিয়ে যাবে অলোক তরীটিরে
আমি মাভৈঃ বলে চলব এবার তোমার চরণ ধরে
তোমার সেবায় মুখর হয়ে তোমায় ভালবেসে।
আনন্দ আজ অবাধ হয়ে ভোলাবে সব ক্লেশে।।

নিত্য তুমি দাও গো দয়াল সব অকূলে কূল
অভয় প্রেমে দূর করে' দাও চলার পথের ভুল
                                  ওগো ঠাকুর অনুকূল।।
তুমি যখন কান্ডারী মোর সার জেনেছি মনে
মায়ার বাঁধন ছিন্ন হবে, চলব তোমার সনে
বর্দ্ধনাতে জাগবে জীবন ভুলে সকল ত্রাসে,
মুক্ত অবাধ চলায় শান্তি স্বস্তি উঠে হেসে।
ভরবে পরাণ নবীন আশায় ওগো তোমায় ভালবেসে।।




১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

नमन करुँ मैं बारंबार


সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

नमन करुँ मैं बारंबार
हे परमेश्वर हे जगदीश्वर
खड़ा हूँ तेरे द्वार।।

कोटी जनम के बाद हे स्वामी
पायो दर्शन आज।।

हे जगस्वामी अन्तर्यामी
पायो न तेरो पार
कण कण में प्रभु छबि तुम्हारी
सारा जग आसार।।

जप तप साधन कछु भी न जानूँ
शरण में ले लो आज
चरण में अपने रख लो मुझको
हो मेरा निस्तार।।



১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

তোমার সেবাই হয় গো যদি

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

তোমার সেবাই হয় গো যদি
মোদের পরম সাধনা
জীবন হতে ভয় পালাবে
         কাটবে সকল বেদনা।।

তুমি ছাড়া কে আর কবে
শান্তি স্বস্তি বিলায় ভবে,
ভালবাসার পুণ্যাহবে
        জাগবে প্রাণের বোধনা।।

মোদের মতন আতুর জনে
আযোগ্য সব দীনহীনে,
তুমি সকল জনায় কাছে টেনে
        দাও গো শিষ্ট বোধনা।।

প্রিয়পরম দয়াল তুমি
ওগো প্রভু জগৎস্বামী,
পায়ে পড়ি জানাই আমি
        হিয়াতে দাও সম্বেদনা।।

তোমার অভয় চরণ ধরে
মায়ার সাগর যাব তরে,
নাও গো সবায় যোগ্য করে
        জাগাও পরম চেতনা।।



১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

বিধির বিষাণ মাভৈঃ রবে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

বিধির বিষাণ মাভৈঃ রবে
        ডাকছে সবে আয় রে আয়।
আর কতকাল ঘুমঘোরে
       রইবি তোরা, দিন যে যায়।

এলেন দয়াল ধরার বুকে,
দেখবি যদি, যা না দেখে,
তাঁর চরণে পরম সুখে
       রইবে স্বস্তি মহিমায়।

মরণভয়ে দিশেহারা
আর্ত হয়ে আছিস কারা,
প্রভুর পায়ে রইবে যারা,
       কভু তারা ভয় কি পায়?

সেবাব্রত লয়ে প্রাণে
চল ছুটে চল তাঁরই পানে;
তাঁরে ভালবাসার অমোঘ টানে
       আঘাত ব্যাঘাত সব পালায়।

যেথায় থাকেন জীবনস্বামী
স্বর্গ সেথায় আসে নামি',
চলার গতি যায় না থামি',
মুক্তি তখন পিছে ধায়।



১লা সেপ্টেম্বর ২০১২

তোরা সব জয়ধ্বনি কর

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

তোরা সব জয়ধ্বনি কর।
তাঁর চরণছোঁয়া পড়ল ধয়ায় উঠল যে রে সুখের ঝড়।।

শ্রান্ত ক্লান্ত কারা আছিস ভাগ্যহারা কোন জনে?
সকল আঁধার যাবে কেটে তাঁহার নামের গুঞ্জনে।
আয় ছুটে সকল জনে পড় লুটিয়ে তাঁর চরণে
সাহস পাবি, শক্তি পাবি ধর দয়ালের চরণ ধর।।

এমন দরদ কোথায় পাবি, আছে এমন কোনখানে?
তাঁহার প্রেমের বার্তা শুধুই যে পেয়েছে সেই জানে।
আর কত কাল ছুটবি তোরা মরীচিকার সন্ধানে?
এবার প্রভুর শরণ নে না, তাঁর পায়েতে লুটিয়ে পড়।।

পূর্ণ তিনি, পুর্ণ করে দেনই জানিস সব জনে
স্রোতল ধারায় জীবন চালান, পুণ্য ফোটে সবখানে।
সাহসী হ' বীরের মত আয় ছুটে তাঁর আহ্বানে
শান্তি, স্বস্তি উঠুক জেগে পরম প্রজ্ঞা আর জ্ঞানে।
পরম আপন কর দয়ালে, তাঁর চরণে লুটিয়ে পড়
বুকের মাঝে ভক্তি মাতন তুলুক তোদের রুদ্রঝড়।।


১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ


তোমার পায়ে অর্ঘ্য হয়ে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

তোমার পায়ে অর্ঘ্য হয়ে
রই যেন গো আমি
পতিতপাবন দয়াল ঠাকুর,
প্রিয়পরম স্বামী।।

তোমার করুণারই ধারায়
প্রাণ লভে সব ছন্নছাড়ায়,
উছল করে বিশ্বধরায়
মুক্তি বিলাও তুমি।।

ছিন্ন করে মায়ার বাঁধন
ষড়রিপুর কঠিন শাস্‌
বাঁচিয়ে রাখো সকল জনায়
এই ভব সংসারে।
বাজিয়ে তোমার প্রেমের বাঁশি
আপন প্রাণের সুরে।।

ওগো প্রভু বিশ্বধাতা
আপনতম পরমপিতা,
মাটির ধরায় দাও যে এনে
পুণ্য স্বরগ ভূমি।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ

ইষ্টচরণ কর রে শরণ

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

ইষ্টচরণ কর রে শরণ জীবনেতে পাবিই জয়
তুই মুক্তি যদি চাস জীবনে, স্বস্তি যদি কাম্য হয়।।

অহং বুদ্ধি প্রবল হলে এক লহমায় সব সাবাড়
আত্মঘাতী চলন তখন মুচড়ে ধরে আপন ঘাড়।
আত্মস্বার্থ প্রতিষ্ঠায় চলায় আনে বিপুল ত্রাস
এক লহমায় জড়িয়ে ধরে প্রাণঘাতী সব কঠিন পাশ।
এই অষ্টপাশের বাঁধন ছেঁড়া তাও তো তেমন কঠিন নয়
ইষ্টপ্রতিষ্ঠার মাঝে সহজভাবে সেটাও হয়।
জীবনেতে পাবিই জয়।।

দ্বন্দ্ব বাধা বিঘ্ন গুলি দলন করে চল ছুটে
তাঁহার আদেশ করে পালন, জীবনে তুই ওঠ ফুটে।
বাঁচার পথটি ইষ্ট জানেন তিনিই পরম আপনার
ঋদ্ধি সিদ্ধি যা কিছু চাও তিনিই যে দেন উপহার।
তাঁকে ধরে কথা শুনে তাঁর পানেতে এগিয়ে যাও
উন্নয়নটি অবাধ হবে ছুটবে অবাধ জীবন নাও।
তাঁর পানেতে এগিয়ে যাও।।

সহজ করে ভালবাসো, যেমন শিশু মা কে জানে
জীবন যশ ও বৃদ্ধি তখন ছুটবে দেখো তোমার পানে।
এ না করে যাই কর না, মতিভ্রমেই চিরকাল
ব্যর্থতাতেই চলতে হবে, জীবন হবে পয়মাল।
তাঁহার আশীষধারা স্নানে ফুটবে জীবন কল্যাণে
আনন্দেরই মুক্তধারা বইবে তখন সব প্রাণে।।
ফুটবে জীবন কল্যাণে।।


১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ


चलो चलो मेरे भाई चलो मिलकर चलें

কথা - ধৃতিমান সিং

चलो चलो मेरे भाई चलो मिलकर चलें
विश्वपिता प्रेमी दयाल आये है।
जिनके आने से सारा जग उजाला
होता है प्रेम मतवाला,
देते है पथ अमृत जीवन का
ऐसे ही स्वामी विशाल आये हैं।।

जो है त्राता प्रीति प्लावन
जीवन जगत उद्धारण,
लोकवर्धनी जिनका स्वरुप  है
ऐसे प्रभु श्रीपाल आये है।।

जिनकी करुणा अगम अपार
शान्ति स्वस्ति आधार,
सभी प्राणों के स्पन्दन जो है
ऐसे प्रभु भुपाल आये है।।

सद्गुरु नामी है मन्त्रदाता
शोक सन्ताप के त्राता,
सार्थक जीवन ले आते है
ऐसे प्रभु कृपाल आये है।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ

धर्मविधि स्थापक जग अभिभावक

 কথা - ধৃতিমান সিং

धर्मविधि स्थापक जग अभिभावक
बिशासित जीवन करे,
प्रेमास्पद नारायण गुरु पुरुषोत्तम
ह्रदय में प्रेम भरे।
लोकपाली ईश्वर मूर्त प्रतीक
परमदयाल प्रभुनाथ।।

त्रिभुवन नायक जीवन विधायक
परमेश नररूप धरे,
स्निग्ध सुशोभित भुवन विभूषित
चितवन पुलकित करे।
दयाल चरण में...
श्रेयश्रद्धा मुखरप्राण कृतिबुद्ध इष्टटान
आदर्श की नन्दना करो,
प्रेष्ठसेवादीप्त जीवन उच्चलित धृतिदीपन
प्राणेश की वन्दना करो।।

भजनमूर्त पावक बेत्ता पुरुष चालक
शोक ताप वेदना हरे,
परमानन्द माधव दुःखकष्ट लाघव
प्रेमसुधा करुणा झड़े।
दयाल चरण में...
इष्टप्राण भावभक्ति निष्ठाराग अनुगति
वृत्तिभेदी चलन में चलो,
धृतिचर्य्यी पुरयमान धारणपालन अधिष्ठान
जीवन को अर्पण करो।।

असत के सायक शुभद विनायक
स्वस्ति विधान करे,
आपूरक उत्तम दयाल नरोत्तम
अस्ति वृद्धि रक्षा करे।
दयाल चरण में...
दयालगुरु चरण में प्रीतिप्लावन करण में
प्रेमभक्ति नियोजित करो,
शिष्टसुधी शब्दनाम सुमिरन
जीवन विवर्धित करो।।


১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ

দয়াল যদি এলেন ঘরে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

দয়াল যদি এলেন ঘরে
এমন করে আর কত
কুটিল মোহের অতল তলে
রইবি ডুবে অবিরত?

তাঁর নয়নের পরশে ঐ আবিল কলুষ যায় দূরে,
বৃত্তি বাঁধন ছিন্ন হয়ে মাটির ধূলায় রয় পড়ে।
মুক্তি লভি আবার যে রে
পরম পাপীও দাঁড়ায় ফিরে।।
পরম গতি লভে সবাই বাঁচার পথে রয় নিয়ত।

ভবরোগের নিদান দিতে এলেন যখন দয়াময়,
বেভুল পথে চলবে কে আর বন্ধ ঘরে কে বা রয়?
নয়নধারে চরণ তাঁহার ধোয়াবি কে আয় না এবার।।

দয়াল ত্রাতা ভুবন জুড়ে নাই তো এমন আর কেহ রে,
বাঁচাবাড়ার পথ দেখাতে কে আর পারে তাঁহার মত?



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

এসেছেন পরমরতন চিন্তাহরন

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

এসেছেন পরমরতন চিন্তাহরন
আয় ছুটে আয় আর্ত যারা
ধর এবারে তাঁহার চরণ।।

এবার শঙ্কা তাড়া ডঙ্কা মেরে
মায়ার কুহক মিটিয়ে দে রে,
প্রভুর সেবায় লাগ এবারে
পালিয়ে যাবে জরা মরণ।।

জীবননাথকে মাথায় করে
যে জন চলে ভয় কি তারে?
এক লহমায় রুখতে পারে
বইছে সে যে ত্রাসতাড়ন।।

বাঁচতে হলে বাড়তে হলে
তরায় ছুটে আয় সকলে,
সঞ্জীবনী মন্ত্রবলে
হবেই হবে উত্তরণ।।

তাঁর মনের মত আপনারে
গড়ে যে জন পূজা করে,
প্রভুর আশীষ সদাই যে রে
পূর্ণ করে তাহার জীবন।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

प्रभु नाथ नारायण जीवन कारन

কথা -ধৃতিমান সিং

प्रभु नाथ नारायण जीवन कारन
आये है सबके द्वार,
जिनके चरण जिनके शरण
होते है सब उद्धार।।

धारण पालन बैशिष्ट्या पोषण
करते है मालिक सबका ही पुरण,
युग प्रयोजन साधन कारण
लेते है प्रेमी अवतार।।

मालिक मंगलमय देते है अभय
रक्षक दाता प्रभु करते है निर्भय,
लोक लाज भय करो न संशय
उनको करो स्वीकार।।

न कोई माप ना कोई प्रलाप
चाहत करो न कोई पुण्य न पाप
दुःख कष्ट ताप शोक  ना सन्ताप
रोके ना कोई बिचार।।

मेरा और तेरा मोह  फेरा
तोड़ दे सारे अहं का घेरा
काला अन्धेरा माया का डेरा
दूर करो अँधियार।।


১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

অসীম সম্ভাবনা নিয়ে এসে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

অসীম সম্ভাবনা নিয়ে এসে সারাজীবন করলি কী?
ও তুই ধরলি নকল আসল ছেড়ে, বাছলি যা তা সব মেকী।

অবাধে তর জীবন গেল প্রবৃত্তিরই সাধনায়
ইষ্টচেতন জাগল না তাই, তুই সব হারালি ব্যর্থতায়।
ভাবিস কি তুই একটিবারও এই চলনের ফল টা কী?

কাম কুহকের হাতছানিতে ঘনিয়ে এল সর্বনাশ
ও তোর বিবেক বুদ্ধি জাগল না তাই, বাঁধল তোরে অষ্টপাশ।
ইষ্টিচলন, ইষ্টপূজন, সেবামুখর বন্দনা
জীবনটা দেয় পূর্ণ করে, আনেই শান্তি নন্দনা।
প্রিয়র পথে চল এবারে দিন ফুরানোর নেই বাকী।।

তাঁর প্রসাদে জীবন উছল, স্বস্তিমুখর চলনায়
সুখসায়রে ভাস এবারে বাঁচাবাড়ার সাধনায়।
না করে কি যায় রে পাওয়া, সঠিক ভাবেই করতে হয়
ওই প্রিয়পরম চরণ ধরে, এমনি চলায় আনেই জয়।
সার্থকতা আসবে তখন বুঝবি বাঁচার অর্থ কী।।
তাঁরে ধরে ছাড় এবারে মূল্যবিহীন সব মেকী।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

রাধাকৃষ্ণ কৃষ্ণরাধা বল বদন ভরে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

রাধাকৃষ্ণ কৃষ্ণরাধা বল বদন ভরে
নামের গুণে অবহেলে তরবে ভুবন সাগরে।।

নামে আনন্দ অপার, নাম সুধার আধার
ওই নাম না করিলে অধম জীবের নাই রে পারাপার।
ওরে তাই বলি মন, দিন থাকিতে রাধানাথে ডাক ওরে।।

নাম লহ সর্বক্ষন, অলস হ'য়ো না রে মন
দিবানিশি ভাব বসি নামীর শ্রীচরণ।
এ নাম শৈশব হতে যুব প্রহ্লাদ কেমনে সাধন করে।।

নাম জপ বদনে, এই পরম লগনে
নামের জোরে তরে যাবে ভব তুফানে।
এই নামামৃত পান করিলে ভাসবে সুধা সাগরে।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

मन करे न बिचार

কথা -

मन करे न बिचार
बृत्तियों के काबु ये संसार।
खाली तेरे जीवन के अब
दिन बचे है चार।।

चोट सत्ता पर जो पड़े
अहं में ही डूबे मरे,
हमबड़ाई अन्धकूप ही
बन गया आधार।।

चक्र कुटिल हीन दुर्बल
स्वार्थ में ही होता पागल,
मरण का ही विष फैलाकर
करता हाहाकार।।

काम जहाँ कामिनी चाहे
लान्छना ही उसको आये,
उसको ही तो कहते लम्पट
घृण्य पुरुष धार।।

नीति पथ तो खूब लिया पर
नष्ट जनम जीवन किया,
इष्ट को जो अपना बनाते
होता रे उद्धार।।
मन करो रे बिचार,
मिल जायेगा जीवन को आधार,
तब होगा बेडा पार।।



১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

मेरे हो तुम खेवनहार

কথা -

मेरे हो तुम खेवनहार
तुम बिना न कोई आधार
हो  मोरे देवा, हो मोरे देवा।।

यह जग है एक भ्रम के माया
निकल न पाते हम
सासों का बस आना जाना
जीवन का अन्त।
कर लो मुझको स्वीकार हो
तुम बिना न कोई आधार।।

सुना था मेरे दिल का कोना
ज्योत जगाये तुम
बिश्राम दिया जीवन को ऐसा
चरणों में आये हम
रखना तुम हमको सम्भाल हो
तुम बिना न कोई आधार।।

एक एक सांस में तुझे पुकारू
मति देना ऐसी
चरणों की प्रभु धूल बन पाऊँ
सुमति देना ऐसी
अन्त में  देना न बिसार
तुम बिना न कोई आधार।।




১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

নামের মত আর কিছু নাই ভবে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

নামের মত আর কিছু নাই ভবে
এই অরূপ সুধায় হব মাতাল এবার মোরা সবে।।

নামের রাজা আছেন মোদের সনে
ভক্তি প্রেমের উজল সিংহাসনে।
তাঁহার সেবায় এবার সকল জনে
হ'ব মুখর জীবন মহোৎসবে।।

নামের সাথে নামীর তো ভেদ নাই
নামী বিনা বিফল যে হয় সকল সাধনাই।
বেঁধে তাঁরে প্রেমের বন্ধনে
বজ্ররাগে চলব মোরা সদাই তাঁহার সনে
নিখিল ধরায় সকল কোণে কোণে
চলব তাঁহার গতির সাথে এবার মাভৈঃ রবে।।




১লা সেপ্টেম্বর সৎসঙ্গ ২০০৯

শ্যামল ধরার বুকে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী (সিপাই দা)

শ্যামল ধরার বুকে জাগালে কবি
তৃষাহরা, প্রেমভরা এ সুখের ছবি।।

এত হাসি, এত গান, ভরে মোর হিয়া খান
তোমার খুশির বেগে সদা যে গো বহমান।
পরাণ ভরিয়া জাগে এ কী সুরভী
এ কী সুরে বীণা খানি বাজাও কবি।।

দীপক দীপন সুরে জাগিল জগত জুড়ে
আনন্দের মধুমাখা প্রেমসুরভি।
ছিলাম গহন ঘোরে, সহসা জাগালে মোরে
আশার আলোক নিয়ে উদিল রবি।।

তোমার আঁখির নীল

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

তোমার আঁখির নীল মনে হয় তার
গহনেতে ডুব দিলে শেষ হবে সব বেদনার।
ওই অপরূপ নয়নে তোমার,
ব্যথাহরা নয়নে তোমার।।

ওখানে সাগর দেখি, কখনও আবার মনে হয়
অসীম আকাশ আছে বুঝি সেথা হয়ে একাকার।
ওই আলো ঝরা নয়নে তোমার,
ব্যথাহরা নয়নে তোমার।।

কখনও বা ভাবি মনে সুদূরের সন্ধানে,
বলাকার ডানা মেলে পাড়ি দেব সকল আঁধার।
মিশে যেতে নয়নে তোমার,
ওই ব্যথাহরা নয়নে তোমার।।

মোর প্রেম, ভালবাসা, স্বপন, মধুর আশা
মিলনের গান আর বিরহের বিপুল পাথার,
দয়াল তোমার চোখে দেখি যে গো সব একাকার।
সেথা যে গো সব একাকার,
ওই ব্যথাহরা নয়নে তোমার।।

প্রিয়পরম মম

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর -ড. স্বপন মন্ডল

প্রিয়পরম মম, প্রভু পুরুষোত্তম
দীনবন্ধু প্রভু জয় হে।
তব করুণাঘন, উজল আনন
অন্ধকার করে বিলয় হে।
তুমি কৃপাল, তুমি দয়াল, তুমি ত্রাতা
বিপুল বিশাল হে।।

সুনীল নভোহর, নয়ন মনোহর
করুণা দ্যুতিময় জ্বলিছে।
সকল ক্লেশতাপ সর্ব পাপ ত্রাস
নিমেষে বিদূরিত করিছে।

অযুত তপনধন ঝনক নিদারুণ
অরূপ বরতনু ঘিরি যে
ধীর গম্ভীর ভুবন আশ্রয়
জীবজগত সদা তরিছে।।

দেবগণ বন্দিত, চরণ অনিন্দিত
সমাসৃত সবে হরষে।
ভবভয় করে দূর, প্রীতি ভরপুর
স্নিগ্ধ প্রেমসুধা বরষে।

বিপদ বিতারণ, জরা মরণ,
আধি, ব্যাধি, ভয় নাশি হে
প্রণতি চরণে, সতত থাক মনে
ভক্তি, প্রেম দাও নিরাশিয়ে।।

না না না মোরা তোমায় পাওয়ার সাধনাতে ক্লান্ত হব না

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

না না না
মোরা তোমায় পাওয়ার সাধনাতে ক্লান্ত হব না
জীবন পথে চলায় কভু ক্ষান্তি দেব না।।

প্রবৃত্তি জাল ছিন্ন করে
চলব দয়াল তোমায় ধরে।
রিপুর বাঁধন ছিঁড়ে তোমার করব আরাধনা।।

তোমায় ভালবেসে সবায় করব আপন ভবে
ব্যথায় কাতর হয়ে ধরায় কেউ নাহি আর রবে।
তোমার আশীর্বাদে মোরা ভাঙব এবার ভয়ের কারা
আনব মুক্তি বাঁধন হারা সেই তো সাধনা।।

চলব অবাধ আনন্দেতে দ্বন্দ্ব দ্বিধা নাই
তোমার দয়ার অভয় পরশ সদাই যে গো পাই।
মরণ শাসন ঘুচিয়ে দেব, তোমার সেবায় ব্রতী রব
তোমার কথাই বলব মোরা এই তো প্রার্থনা।।

আমি শক্তি, মুক্তি চাহিনে ভিক্ষা পা'য়

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

আমি শক্তি, মুক্তি চাহিনে ভিক্ষা পা'য়
তোমারে সেবার সাহস ভিক্ষা করি
 বলি না কখনো বহিতে আমার দায়
প্রেমডোরে যেন তোমারে বাঁধিতে পারি।।

তোমার আদেশ পালনেতে আগুয়ান
দ্বিধাহীন মনে হই যেন ভগবান।
তব ইচ্ছায় আমার ইচ্ছা করে
মায়ার সাগর অনায়াসে যাব তরি।।

তোমার প্রেমেতে সবারে আপন করে
তব শুভ নাম নিয়ে যাব ঘরে ঘরে
অহংকারের বাঁধন ছিন্ন করে
মুক্ত হব গো তোমার চরণ ধরে
সকলের সাথে সেথায় মিলন হবে
সবারে রাখিতে তুমি আছ কান্ডারী।।

ত্রাসতারণ নবঘন

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

ত্রাসতারণ নবঘন পরমানন্দ পতিতপাবন
পালক প্রভু জ্যোতির্ময় প্রকট ব্রহ্ম হে।
জগন্নাথ স্বামী, পুরুষোত্তম ঈশ্বর
স্বরাট বিরাট নাথ বিভু হে।।

বৈশিষ্ট্যপালী জীবোদ্ধারী শুভদ সুন্দর
আপূরয়মান কল্যাণজ্যোতি দিব্য মনোহর।
প্রীতিপ্রসূন ধৃতিধারক লোকত্রাতা হে
চিরোজ্জ্বল সুগম্ভীর বিশ্বপিতা হে।।

পরমপ্রেমময় প্রভু পরমেশ
জীবজগত ধারক প্রাণেশ
চিরত্রাতা, মুক্তিদাতা যোগী যোগেশ
আত্মমগন মঙ্গলময় সমদর্শী হে।।

করুণাঘন সর্বব্যাপী আদি কারণ
পরিত্রাতা প্রাণপালী সত্তা সদন
নামস্বরূপ পরমপিতা পরমদাতা হে
অযুত প্রণতি পদপ্রান্তে জগদীশ হে।।

তুমি বিনা কে বা ওগো আছে আমার

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - সুমন গুহ

তুমি বিনা কে বা ওগো আছে আমার
অসীম আঁধার মাঝে, ডুবে আমি মরি লাজে
আলোর প্রসাদ তুমি দাও অনিবার।।

চিরদাতা প্রভু তুমি কেমনে
অভাজনে ভালবাসি, ঘুচাও বেদনারাশি,
হাত ধরে নাও মহাজীবনে।
অচ্যুত নিষ্ঠায় প্রভু তোমারে বাঁধিয়া রাখিব হিয়া মাঝারে
ভক্তি, প্রেম, অশ্রুনীরে ধুয়ে দেব রাতুল চরণ তোমার।।

তোমার অভয়পদ লভিয়া
আনন্দ মধুধারা পানে হই মাতোয়ারা
ছুটে চলি তব জয় গাহিয়া।
সব ক্ষোভ, সব ব্যথা মুছায়ে পরাণের সব জ্বালা ঘুচায়ে
তুমি দিলে শান্তির অধিকার, প্রণাম তোমায় নাথ বারবার।।

চেতনা বিহারো আকাশ

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ঋকসুন্দর সরকার

চেতনা বিহারো আকাশ
মায়ামোহ জাল ছিঁড়ি
প্রিয়পরমেরে স্মরি
উদগতি কর অভিলাষ।।

প্রাণের ঠাকুরে ধরে সঁপে দাও আপনারে
দৃঢ় কর ভকতি বিশ্বাস
দূর হোক সব ভয়, পাপ তাপ হোক ক্ষয়,
স্বস্তির উদয়ে যাক মরণের ত্রাস।।

চলিয়া তাঁহার সনে অজপা নামের তানে
দূর করে যত ব্যথা, শোক, ভয়, ত্রাস,
জীবনের অভিযানে, মরণের অবসানে
শান্তি, সুরভি নিয়ে বহিবে বাতাস।।

প্রভুর চরণ ধরি, যাব তাঁরে সেবা করি
আনন্দময় হোক চেতনা উদ্ভাস।
সাথে যার দয়াময়, যায় তার সব ভয়
জরা, ব্যাধি, মরণের হয়ই বিনাশ।।

আজি উদিল ভাগ্যতপন

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

আজি উদিল ভাগ্যতপন
এসেছেন দয়াল পরমপিতা
করিছেন প্রেম বিতরন।
তাঁর রাতুল চরণে লভিয়া শরন
ধন্য হ'ল প্রাণমন।।

চড়িয়া আজি নামতরী
ঘোর কাল জাল ছিন্ন করি
সংসার সিন্ধু দেব গো পাড়ি
রুধিয়া জরা ও মরণ।।

আদি কারণ নিরঞ্জন
ভক্ত বৎসল সাধনার ধন
সর্ব দুঃখভার করেন মোচন
পূজিব তাঁর শ্রীচরণ।।

ধন্য ধন্য প্রভু বিশ্বত্রাতা
সর্বপাপ হর মুক্তিদাতা
পুরুষোত্তম তব চরণ লভি
করিব সফল সাধন।।

প্রভু তুমি তো চির দয়াময়

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ঋকসুন্দর সরকার

প্রভু তুমি তো চির দয়াময়
সর্বলোকে সর্বকালে সেই তব ওগো পরিচয়।।

তোমারই চরণপ্রান্তে
পথ পায় দিকভ্রান্তে
সন্তাপ জর্জর শ্রান্তে
নিমেষেই করে যে গো নির্ভয়।।

শাশ্বত কল্যাণ পরশে
ভরে দিলে চিত্ত গো হরষে
অম্লান স্বস্তিপ্রবাহে
দূর কর পাপদাবদাহে।
প্রেমল ভক্তিদীপ্ত হ'ল যে সকল চিত্ত
করেছ সবারে মুক্ত নাশিয়া মৃত্যু বিলয়।।

সন্দিপী তব বাণী
স্বর্গ দিল যে আনি
বক্ষে নিলে গো টানি
করিলে হে কল্যাণময়।
ধৃতিমুখর ঐ তব জাগ্রত বাণী মাভৈঃ
অমানিশা ঘোর মথিয়া হ'ল নব সূর্য উদয়।।

আমার গানের সুরে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - ড. স্বপন মন্ডল

আমার গানের সুরে শ্রাবণের ধারা
সবুজ সোহাগ রাগে দিক ভরে দিক
ধরণীর বেদনার ঊষর সাহারা।।

ঐ যারা পথহারা আশাহীনতায়
বুকভরা আঘাতের ব্যথা বেদনায়
আঁধারেতে মিশে যায় ঐ দিশাহারা
আশার আলোক নিয়ে জাগুক তাহারা।
আমার গানের সুরে প্রীতির আলোকে
আবার বাঁচুক তারা বিপুল পুলকে।।

আমার গানের কথা এনে দিক ভাষা
নীরব নিথর সব মানুষের মুখে
এনে দিক জীবনের প্রেমভরা আশা
একায়িত চলনের গতিময় দিশা
সবার মনের কথা আমার এ গান
সুরে সুরে ভরে দিক সকল পরাণ।।

ঐ কে ডাকে আমারে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় অর্কদ্যূতি চক্রবর্তী (বাবাইদা)

ঐ কে ডাকে আমারে
ব্যাকুল উদাসী সুরে।।

দূরাগত সেই সে সুরে
আজি প্রভাতে সূর্যালোকে
ঝঙ্কৃত মোর চিত্ত বেদনায় ওঠে শিহরে।।

নয়নে দেখিনি যারে
আজি প্রত্যুষে সহসা কেন
মোরে সে মগন করে।
তাঁহারই গোপন পরশে
সহসা সুধা আবেশে
নিঃসীম বিরহে হায় দিল যে মগন করে।।

প্রেমী তোমারে প্রণাম জানাই

কথা -পূজনীয় বিঙ্কিদা
সুর -ঋকসুন্দর সরকার

প্রেমী তোমারে প্রণাম জানাই
এসেছো তুমি প্রভু ত্রিতাপ হরিতে
নাই নাই আর ভয় নাই।।

কাতর জীবনে দুঃখ বেদনে
ভরা ছিল হিয়া মোর ব্যথা আর রোদনে
আসিলে তুমি হে মোর স্বামী
নাই আর শোক তাপ নাই।।

তোমারে লভিয়া তোমারে স্মরিয়া
কৃতিতপে ধাই তব পথ বাহিয়া
তব হাতখানি আছে গো জানি
ধরিয়া রাখিতে সদাই।।

তোমারই সেবার অমৃত হবনে
অমরণ গীতি আজি ধ্বনিছে ভুবনে
স্বস্তিমুখর প্রাণে তোমারই দয়ার দানে
বর্ধন পথ মোরা পাই।।

সুনিষ্ঠ নন্দনায় তব বন্দনায়
অনুগতি আবেগে শ্রীচরণ রাঙাই
নাই দ্বন্দ্ব নাই দ্বেষ আনন্দ হরিল ক্লেশ
ভরিল পরাণ প্রভু প্রণাম জানাই।।

জীবনের ভাল টা কি

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

জীবনের ভাল টা কী,
মন্দ বা কী, জানো কি?
প্রভুর রাতুল চরণ বিনা
এ দুনিয়ায় সব ফাঁকি।।

আপন যাদের ভাবছ মনে
কেউ কি যাবে তোমার সনে?
সঙ্গ দিতে শেষের দিনে
সেই কথাটা ভাবো কি?

জমালে তো অনেক ভবে
সে সব কি আর সঙ্গে রবে?
কেন আকুল হ'চ্ছ তবে
বোঝ না এ সব মেকী?

যিনি সবার পরমপিতা
যা কিছু পাও সবের দাতা
তিনিই সবার পরিত্রাতা
এ সার কথা বোঝ কি?

সবার আপন সেই আপনে
ধর পরম আপন জ্ঞানে
সকল চাওয়ার অবসানে
উঠুক পরমপ্রাপ্তি ঝলকি।।

পরমদয়াল পুরুষোত্তম প্রিয়পরম হে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

পরমদয়াল পুরুষোত্তম প্রিয়পরম হে
আর্ত মানব তোমার দয়ায় নব প্রাণ পেয়ে জাগে।।

দিক হতে দিকে তোমার বারতা
দূর করে দিল পরাণের ব্যথা।
নাম অমৃত পরশনে প্রভু বাঁচালে সবাকে।।

অযুত কন্ঠে তব জয়ধ্বণি
নিখিল ব্যপিয়া ওঠে রনরনি
সঞ্চিত যত পাপ সন্তাপ বিদূরিত তব প্রবাহে।
প্রিয়পরম হে।
সব অপূর্ণে করিলে পূরণ
করিলে শান্তিসুধা বিতরণ
নন্দিত দাস চরণপ্রান্তে বন্দনা করি হে।।

ধিতাং ধিতাং বোল বাজে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

ধিতাং ধিতাং বোল বাজে
ধিতাং ধিতাং বোল
আজ খুশির জোয়ার লাগল ধরায়
উঠল রে কল্লোল।।

আজ জীবননাথের আবির্ভাবে
মরণ জয়ের মহোৎসবে
দুঃখনাশী ইষ্টিতপের উঠল কলরোল।।

যারা শ্রান্ত, নিরাশ, ক্লিষ্ট, কাতর ব্যথায় ভরা মন
দেখো দয়াল এলেন বহে সুখের প্রস্রবন
মাভৈঃ বলে তাঁর চরণে এবার আপনারে
অবাধ চলার আনন্দেতে দাও না উজার করে
মোদের প্রেমের তপস্যাতে সেবায় সাধনায়
নতুন করে জাগুক প্রাণে স্বস্তিমুখর দোল।।

সাথে তো যাবে না কিছু

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

সাথে তো যাবে না কিছু ওরে মন
তবে বোঝাটি বাড়িয়ে কেন মরিছ এমন।।

সঞ্চয় করিছ যাহা
পিছে পড়ে রবে তাহা
কেন তবে বৃথা কর্মে কাটাও জীবন
তার চেয়ে যদি তাঁরে বাঁধিতে প্রেমের ডোরে
সবারে রাখিতে যে গো জাগে অনুক্ষণ।।

তাঁর পায়ে আপনারে
সঁপে দিয়েএকেবারে
আশ্রয় করে নিতে রাতুল চরণ
থাকিত না ভবভয়, সব দুঃখ করি জয়
মহাজীবনের পথে হ'ত উত্তরণ।।

ওঠো জাগো

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

ওঠো, জাগো উজ্জ্বল নিঃশঙ্ক
শোনো জয়ডঙ্কা আজি মুখরিত
জীবনের সামগান
জাগো নির্ভীক, দেখ দশদিক
ঝঙ্কৃত করে বাজে ঐ জয়গান
আজি মুক্তির ডাক এল পাপে পাবে ত্রাণ।।

নাই নাই রাত্রি রে অবোধ যাত্রী
দুঃসহ দুর্দিন চির অবসান
নামগানে মন্দ্রিত নব জয়যাত্রায়
দেখো শুরু হল আজি নব অভিযান।
ঐ পুরুষোত্তম জয় অভিযান।।

আয় ছুটে আয়, আয় মুক্তির রথ ধায়
সারথী এলেন ফিরে ওঠে জয়গান
অন্তিম তন্দ্রার চির অবসানে আজি
মুছে গেল সব শোক দুঃখ অপমান।
দেখো শুরু হল আজি নব অভিযান
ঐ পুরুষোত্তম জয় অভিযান।।

শঙ্কার বিভীষিকা হবে হবে লুপ্ত
অনুরাগে পুণ্য ব্যথা দুর্ভুক্ত
রাত্রির অবসানে যাত্রীরা জয়গানে
এই মহাযাত্রায় কর যোগদান।
দেখো শুরু হল আজি নব অভিযান
ঐ পুরুষোত্তম জয় অভিযান।।

জগতজীবন প্রাণস্পন্দন

কথা - পুজনীয় বিঙ্কিদা
সুর - ঋকসুন্দর সরকার

জগতজীবন প্রাণস্পন্দন
নমি তাঁরে বারবার
পালন পোষণ পূরণ কারণ
ভজ মন অনুক্ষণ চরণারবৃন্দে তাঁর।।

অমর অবতার দুঃখ বিনাশিনী
স্পন্দিছে মহানাম ভুবন প্লাবিনী
স্বস্তির সামগানে কাটিল মোহের আঁধার।।

প্রেমস্রাবী ওই অপরূপ নয়ন
দীনদয়াল তিনি নারায়ণ
অরূপ স্বরূপ তাঁর হরিল ব্যথাভার।।

অটুট নিষ্ঠারাগে অনুগতি পূজা জাগে
কৃতি অনুবেদনায় ভক্তি প্রেম অনুরাগে
চাহ মন শ্রীচরণ সেবার অধিকার।।

তোমার কথাই বলে যারা

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

তোমার কথাই বলে যারা
তোমায় মানে না
তোমায় পাওয়ার আনন্দ কী
তাই তো জানে না।।

ওরা চিনির বোঝা বহন করে
বুঝবে সোয়াদ কেমন করে
ওরা একটু যদি মুখে দিত
রসটি হত জানা।।

তোমার ধ্যানে নীরবতা
কেমন সুখের জানে না তা
প্রেমের কী যে মাধুর্যতা
 প্রেমের কী যে মাধুর্য তা কিছুই বোঝে না।।

ভক্তি প্রাণে না রয় যদি
শুধু কথায় কী বা হবে
সেই কথাটাই সহজ করে
কেউ বোঝে না ভবে (রে মন)।
তোমায় ভালবাসলে প্রাণে
বাঁধনছেঁড়া শান্তি আনে
নিত্য তোমায় সেবা বিনা
তৃষ্ণা কমে না।।

নিত্যানন্দ মুক্তিদাতা

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস

নিত্যানন্দ মুক্তিদাতা করুণাসিন্ধু হে
সাধক জন সাধন ধন দীনবন্ধু হে।।

আদি কারণ নারায়ণ নিখিলধাতা হে
ভকতজন রক্ষক প্রভু সর্বত্রাতা হে।।

বেদন ভয় ভঞ্জক নাথ বিশ্বপিতা হে
সর্বপাপ নাশক প্রভু পুণ্যদাতা হে।
শান্তি স্বস্তি কল্যাণময় দীননাথ হে
সুন্দর প্রভু জ্যোতির্ময় প্রাণনাথ হে।।

আদি পুরুষ পাবক বিভু অমৃতময় হে
পরমপ্রেমময় প্রভু লোকত্রাতা হে।
হে চিরদরদী পরমদয়াল পরমপিতা হে
অযুতকোটি প্রণতি রাতুল চরণকমলে হে।।

তব রাতুল চরণ পরশে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস 

তব রাতুল চরণ পরশে
ধরা আজ হল মধুময়
সুন্দর প্রিয়তম হেরি স্বস্তির সূর্য উদয়।।

অহং মত্ত পাপত্রাস
তোমার কৃপায় হল নাশ
আনন্দ জাগে অবিনাশ
বহে শান্তির স্নিগ্ধ মলয়।।

আজি অভিমান হল নিঃশেষ
দূর হল বাসনার ক্লেশ
কাটিল হিংসা দ্বেষ
বিদূরিত হল সংশয়।।

তোমার আশিষ লভিয়া
তব শুভ নাম গাহিয়া
প্রাণভরে তোমারেই চাহিয়া
গাহিব প্রভু তব জয়।
 তোমারই পানে অভিসারে
লভিতে জীবনে তোমারে
স্মৃতিবাহী চির চেতনারে
করিব হে দয়াল উদয়।।

তোমাকে যখন মনে পড়ে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস 

তোমাকে যখন মনে পড়ে
ধরা মনে হয় জনহীন
প্রভু তুমি আছ আর আমি আছি
বাকী সব তোমাতে বিলীন।।

কি যাদু যে করেছ আমায়
তোমাকেই ভেবে ভেবে হায়
কোথা হতে বেলা বয়ে যায়
তুমি আছ, তুমি যে গো আছ
তাই মনে বাজে চিরদিন।।

বুঝি না এ কেমন খেলা!
সুন্দর নিয়ে আমাকে
খেলিছ সারাটি বেলা।
আজ আকাশ বাতাস ছায়া আলো
সব কিছু লাগে গো ভালো।
প্রভু তোমার হাসির দোলাতে
আজ ত্রিভুবন হল অমলিন।।

ওগো অপরূপ, তোমার স্বরূপ


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পন্ডিত বলরাম দাস



ওগো অপরূপ, তোমার স্বরূপ না বুঝে রুপেতে মজেছি।
যা ছিল আমার প্রিয়, আপনার, সকলই চরণে দিয়েছি ॥

ওই মনমোহন রূপঢি ধরে, আছো ভুবন আলো করে,
সেই আলো রে পরাণ ভরে নয়নে আমার ভরেছি ।
তুমি দিলে আমায় মোহিত করে
তাই তোমারে হিয়ায় ভরে বন্দী আমি করেছি ।
(আমার) সকল ব্যথা হরণ করে দিলে তুমি পূর্ণ ক'রে,
ওগো, তোমায় ম্মরণ ক'রে সুখে জীবন ভরেছি ॥
কঠিন কারাগার এ' ভব সংসার, ঝঞ্জা-ব্যাকুল ভব-পারাবার,
তোমার অভয় চরণ ধ'রে এ' দুঃখ সাগর তরেছি ।
পূর্ণ তুমি, তাই তো ধ'রে সকল অভাব পূরণ করে
ভালবাসায় পূর্ণ ক'রে দিয়েছো, পূর্ণ হয়েছি॥

ওগো, চাওয়ার আমার আর কিছু নাই।
ওই রাতুল পায়ে মিলছে ঠাঁই।
তোমায় পেয়ে, তোমার হয়ে
চাওয়ার আমার আর কিছু নাই।
শুধু, চিরদিন যেন অমলিন রয় স্মৃতি, - - আমি পেয়েছি।
প্রভু, তোমারেই চেয়ে, তোমারেই হয়ে
জীবন পূর্ণ করেছি॥

ওগো সুন্দর, ওগো অনুপম


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




ওগো সুন্দর, ওগো অনুপম
সার্থক কর জীবনে,
তব রাতুল চরণে সঁপি মন -প্রাণ
পেয়েছি তোমারে এমনে।।
পারের কর্ত্তা, তোমার বার্ত্তা
ছুটিয়া চলেছে ভুবনে,
ওগো রসময়, দাও বরাভয়
সবারে সকল ক্ষণে ।।
তুমি পরম সম্বল মোর
বাঁধিয়া রেখেছে মম বাহুডোর,
তোমার রাতুল চরণ দুখানি
সম্বল তাই পরাণে |
দাও বরাভয়, দূর করো ক্ষয়
থাকো সদা মোর ধেয়ানে ।।

ठाकुर पिया!


কথা ও সুর - পূজনীয় বিঙ্কিদা

ठाकुर पिया!
कैसे तू ने मोरे तन मन
अपने रंग में रंग दिया।
हो रामा क्या किया....... हाय ये क्या किया..... ॥

मान ज्ञान धन जीवन यौवन
झूठा बोझ बढ़ाया
मेहर के तेरे तनिक कण ने
माया भरम से बचाया।
हो रामा क्या किया....... हाय ये क्या किया..... ॥

आवश जीवन, व्याकुल तडपे,
मोह फेर सताया,
बरसे धारा करुणा की तेरी-
काल कहर से बचाया।
हो रामा क्या किया....... हाय ये क्या किया..... ॥

ओ मोरे पिया!
मोरे साँवरिया!
तूने तो मुझको, हर जीवन को
सुरत अपनी बताया,
तुझको जीवन करके अर्पण
जीवन पथ को पाया।
हो रामा क्या किया....... हाय ये क्या किया..... ॥

যারে চাস, শুনিস না


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




যারে চাস, শুনিস না, শুনিস না তুই,
ডাক দিয়ে যায়, সে অনুক্ষণ,
সংসারেরই অবোধ খেলায়
কাটিয়ে দিলি সারা জীবন ॥

ভাবিস, তিনি রহেন দূরে,
থাকেন সদা তোরে ছেড়ে?
সবার সাথেই সব ক্ষণেতে
নিবাস তাঁহার রয় প্রতিক্ষণ ॥

সবারে সমান চোখে
নিত্য রহেন তিনি দেখে,
কোথায় তাঁহার সন্ধানেতে
ঘুরে মরিস পেতে সুজন?
ফুরায় নি তো সময় ওরে,
কাটা জীবন তাঁরে ধ'রে;
সার্থকতায় পূর্ণ হবি,
ধন্য হবে মানব জীবন॥

ওরে মন অবাধ হয়ে


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা

ওরে মন অবাধ হয়ে সতত তাঁরেই বয়ে,
রাতুল চরণ ধরে ছুটে চল পরম জয়ে ॥

তাঁর করুণা-প্রেমপাথারে ডুবে যা চিরতরে
প্রেমী হ' এবার ওরে বিনাশি' অহং ভয়ে ॥

দিয়েছে তার যে মন, ধরা তার হল আপন ;
সবারই হয় সে স্বজন তাঁহারই আপন হয়ে ॥

ভাঙ্গিয়া পাপের কারা, আলোতে ভর না ধরা;
জীবনের জাগুক সাড়া মরণের পরাজয়ে ॥

বিশ্বসংসারে প্রতি ঘরে ঘরে


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




বিশ্বসংসারে প্রতি ঘরে ঘরে নিয়ত হেরি যেন তোমারে,
তোমার আশিস পরশ লভি সদা তৃষিত চিত্ত মাঝারে ।
তব অনন্ত অসীয় মহিমা, বিপুল প্রেম, সহ্য, ক্ষমা,
শুভ-স্নিগ্ধ দিব্য আশিস রহুক ঘিরিয়া আমারে ॥

তোমার প্রেমের বাঁশি


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




তোমার প্রেমের বাঁশি কানে আসি
উতলা করিল আমায়
তোমারই বিরহে দিন যায়, প্রাণ যায়।।
সঞ্চিত চিত্তে আমার
কত গ্লানি, কত ব্যথাভার
অবসান করি শংকার----
রাখো জীবন যায়।।
বেলা গেল সন্ধ্যা নামে,
আধার ঘনালো ওই
মন বলে--- ওগো প্রিয়,
তুমি কই, তুমি কই ?
তুমি তো দরদি মহারাজ
নাও মোরে, রাখো মোর লাজ,
বিরহের অবসানে আজ
ভরো--- চির পূর্ণতায়।।

ওগো চিরসুন্দর প্রাণারাম

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা

সুর - পূজনীয় বাবাইদা




ওগো চিরসুন্দর প্রাণারাম,
কোটি প্রণাম পায়ে, কোটি প্রণাম।
যোগী-ঋষি-বাঞ্ছিত প্রাণারাম,
কোটি প্রণাম পায়ে, কোটি প্রণাম ॥
সকল পথের শেষ তোমাতে স্বামী,
নানা রূপে তোমারেই অন্তর্যামী
চিরদিন পূজি মোরা নয়নাভিরাম,
তোমারে প্রণাম করি, কোটি প্রণাম॥
ভক্ত-বৎসল ওগো লোকপাল,
চিরসুন্দর প্রভু কালের রাখাল;
সনাতন, রক্ষক, রাখো ধরাধাম,
তোমারে প্রণাম করি, কোটি প্রণাম।
সত্তার পথধারী পুরুষোত্তম,
যুগ সৃষ্টিকারী অনুপম--
যা কিছু আমার আছে, তোমারে দিলাম,
তোমারে প্রণাম প্রভু, তোমারে প্রণাম।

এত চেনা, তাও মনে হয়


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




এত চেনা, তাও মনে হয় - -
জানি না তাহার পরিচয়।।

সে সবারে ধ'রে রাখে,
সকলের মাঝে থাকে,
যন্ত্র, যন্ত্রীও, কে সে --
চির বিস্ময় !
জানি না তাহার পরিচয় ॥

যা আছে সকলি তার আপন সৃজন
সে যে যোগী-মুনি-ঋষিদের সাধনার ধন।
জানি তুমি সকলের প্রিয়, প্রাণারাম।
তোমাতেই শুরু, আর, তোমাতেই বিরাম
এ' অধম সন্তানেরে
রাখো শ্রীচরণে ধ'রে,
তখনও সাথে রেখো
যবে হবো লয়,
পাইনি তোমার পরিচয়॥

তুমি ভালোবেসে ডাকলে মোরে


কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা




তুমি ভালোবেসে
ডাকলে মোরে আজ সকালে আপনি এসে
পূব-গগনে রবি তখন জেগে
রঙে রঙে ভরলো আকাশ
রঙের ফাগে।
পূবের হাওয়া গান শোনালো
কোন সে আবেশে॥

জাগার লগন এলো ভবে,
ভরলো ধরা মুখর পাখির
কুজন রবে।
আমায় তুমি পূর্ণ ক'রে
পরম স্নেহে রাখলে ধরে,
বুঝে গেলাম সাথেই রবে
দিনের শেষে॥

তোমারই সেবক আমি

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় বাবাইদা



তোমারই সেবক আমি
হে প্রভু জীবনস্বামী
জনমে জনমে তব ভৃত্য ।
প্রেমে মোর ভরেছো গো চিত্ত।

তুমি মোরে দয়া করে
রেখেছ চরণে ধরে
মম প্রাণ তোমারই দত্ত
প্রেমে মোর ভরেছো গো চিত্ত।

সদা তোমা খুঁজে মরি
তোমারই পূজা করি
জানি তুমি দেবে তরী
সকলের সাথে মোরে নিত্য।
প্রেমে মোর ভরেছো গো চিত্ত।

তুমি ছাড়া কে আমারে
সদাই দেবে গো তরে,
মায়ার ভুবনে তুমি সত্য।
প্রেমে মোর ভরেছো গো চিত্ত।

আদেশ পালন করে
তব দয়া শিরে ধ'রে
তোমাতেই রই সদা মত্ত।
প্রেমে মোর ভরেছো গো চিত্ত।

তোমার রঙে হৃদয় আমার রাঙা

কথা -পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা
সুর - শ্রীনিখিল ঘটক

তোমার রঙে হৃদয় আমার রাঙা
তোমায় বিদায় দেব কেমন করে
বিশ্বভুবন তোমার সুরে বাঁধা
সে সুরে মোর চিত্ত আছে ভরে।।

রূপে তোমার মুগ্ধ আঁখিতারা
রসে তোমার আকাশ বাতাস ভরা
গন্ধে তোমার হিল্লোলিত ধরা
পরশে মোর তনু থরথরে।।

তোমার লাগি দিবানিশি জাগা
তুমিই যে মোর সকল চাওয়ার পাওয়া
তোমায় বিনা সকল চাওয়া ফাঁকা
হৃদয় আমার কাঁদে তোমার তরে।।

তুমিই আমার বেঁচে থাকার আশা
তুমিই আমার সকল কাজের দিশা
দুঃখ দৈন্য নেই কো হতাশা
প্রভু তুমি আছ হৃদয় জুড়ে।।

শ্রীকন্ঠে শোভিছে সদা

কথা - পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীবড়দা
সুর - শ্রীনিখিল ঘটক

শ্রীকন্ঠে শোভিছে সদা স্বস্তিবাণীচয়
শ্রীমুখে অমৃত ঝরে নাশে মৃত্যুভয়
ঠাহরি প্রকাশে রূপ হেন সাধ্য কার
কুবলয় বিনিন্দক নয়ন তাঁহার
রসঘন রূপে তাঁর ভুবন মজিছে
অরুণিতে করতল অভয় দানিছে
নুয়াইছে কতশত ভকতচরণে
কূটস্থিত মনে তাঁরে ভজিছে যতনে
লক্ষ লক্ষ নরনারী তাঁহার আশ্রিত
চরণযুগল তাঁর সর্বত্র পূজিত
নয়ন দেখিলে তাহা ভোলা নাহি যায়
দ্রবীভূত সুধা যেন ঝরিছে ধরায়
চকিতে হৃদয় গলে সে রূপ হেরিলে
ক্রমে ভাব মহাভাব হৃদয় সঁপিলে
বক্ষ ভরিয়া ওঠে আনন্দ লহরে
রহি রহি কাঁপে অঙ্গ কভু বা শিহরে
তীর্থ মহাতীর্থ সে যে ভব পারাবারে
প্রণমি প্রণমি প্রভু প্রণমি তোমারে।

জীবন যখন দিলেই কেন

কথা -পূজনীয় অরুণ কুমার সান্যাল
সুর - শ্রীবাসুদেব চ্যাটার্জী

জীবন যখন দিলেই কেন
মোহমুক্ত করলে না
ও দয়াল লাভের লোভে জনম গেল
সাধন সময় পেলাম না
এই তো মম বেদনা।।

পরাণ যখন দিলে কেন
বাসনাহীন করলে না
ও দয়াল কামনাতাপে কলুষ হলাম
নামের তরী ছুটল না
এই তো মম যাতনা।।

ও দয়াল কামনা কলুষ অন্তরেতে
সাধনমন্ত্র জাগিয়ে দাও
মোহ মলিন এ জীবনে নামের পরশ লাগিয়ে দাও
ও দয়াল সেই হবে মোর সাধনা।
নামের কলি ফুটিয়ে মনে
অন্ধতামস ঘুচিয়ে দাও
ও দয়াল এই তো আমার প্রার্থনা।
ও দয়াল এই সাধনা সুরে মনে সুরবাহারে সুর জাগাও
এই তো আমার প্রার্থনা।।

ওরে আমার মন

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - শ্রীবাসুদেব চ্যাটার্জী


ওরে আমার মন
ওরে ভোলা মন
তুই ভবভয়ে ভীত কেন
সদা রে এমন।।

দয়াল আছেন তোর মাথার ওপরে
সাধ্য কী কোনও পাপ পরশিবে তোরে
এবার নিশিদিন প্রেমভরে
ভাব শ্রীচরণ।।

আঘার হানিবে তাঁর সেবকের পানে
হয় নাই এ ভুবনে কভু কোনওখানে
এবার ভকতবৎসল পদে
নাও গো শরণ।।

তুমি আমায় আদর কর

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় অংশুমান চক্রবর্তী


তুমি আমায় আদর কর
আমি আঘাত দেই নিজেরে
তুমি বাঁচাও দুহাত ধরে
পিছল পথে বারে বারে।।

ওগো যতই বেভুল পথে চলি
বোধে দিয়ে জলাঞ্জলি
পথটি দেখাও হে কুশলী
হঠাৎ কখন হাতটি ধরে।।

দিনের শেষে আপন ঘরে
পৌঁছে দিতে গো আমারে
দাঁড়াও এসে মধুর হেসে
দয়াল তুমি দরদ ভরে।।

সুজন বন্ধু রে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - শ্রীবাসুদেব চ্যাটার্জী


সুজন বন্ধু রে
ও বন্ধু আমার, তুমি বিনা মনের মানুষ নাই
দিবানিশি তাই তো আমি তোমারই গান গাই।।

এবার সারাজীবন পথে পথে
চলব সুখে তোমার সাথে
ঘর ছেড়ে আজ পথ ধরিলাম সেই আশাতে তাই
ওগো দয়াল ঘর ছাড়িলাম তাই।।

তুমি যখন হাসাও মোরে
ভুবন কাঁপে সুখের ঘোরে
তুমি যখন কাঁদাও আমায়
কাঁদতে ভুলে যাই
ওগো দয়াল তোমার পানে চেয়ে চেয়ে কাঁদতে ভুলে যাই।।

আবার তোমার মত সুখে সুখী
তোমার মত দুঃখে দুঃখী
তোমার মত দরদী কেউ নাই।।

সংসার মায়ার বিষে

কথা - পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা
সুর - পূজনীয় অংশুমান চক্রবর্তী


সংসার মায়ার বিষে দহিছে যে কায়
তুমি বিনা কে দেবে গো শান্তির উপায়
দয়াময়, ওগো প্রেমময়।।

একেলা রয়েছি নাথ হায় ভুবনে
জানি না কেমনে যাব তব পথ চিনে
ওগো প্রিয় কও কবে পাব গো তোমায়
তুমি বিনা কে দেবে গো শান্তির উপায়।।

তোমার বিরহে সহি অনেক বেদনা
দীনহীন আমি নাই বিবেক চেতনা
কুসঙ্গে জনম গেল বিফলে যে হায়
তুমি বিনা কে দেবে গো শান্তির উপায়।।

আমি বেদবিধি ছাড়ি

কথা - শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
সুর - শ্রী নিখিল ঘটক


আমি বেদবিধি ছাড়ি বেদনা হারি
হরি নাম সদা গাই রে
হয় হোক মম লক্ষ জনম
তাহে কোনও ক্ষতি নাই রে।।

ঘনাম্বু নিন্দিত শান্ত সুনীল
মূর্তি যেন ভুলি নাকো তিল
নিত্য নৃত্য করে যেন মোর
চিত্ত যমুনা পুলিনে রে।।

সন্ধ্যা আমার বন্ধ্যা হোক
তাহে নাহি কোনও শোক
তর্পনজল অর্পন বিনা
রোধুক পিতৃলোক
ঘোষুক জগতে নিন্দা খ্যাতি
তোষুক রোধুক স্বজন জ্ঞাতি
আমি কিছুতেই বিমল ভাতি
ভুলিতে নারিব ভাই।।

ক্ষুব্ধ পরাণ চাহে গোবিন্দ
নামামৃতে সদা ভাসিতে
আহা মুগ্ধ মানসে আত্ম ভুলিয়ে
হরি হরি বলে নাচিতে
হরিবোল  হরিবোল হরিবোল হরিবোল
চাহে না তো আর শৌর্য বীর্য
চাহে না পরাণ বিশাল রাজ্য
ধর্ম-অর্থ-কাম সকলই ত্যাজ্য
মোক্ষের মুখে ছাই রে।।

এসো পতিতপাবন গুরু গো

কথা - শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
সুর - শ্রী নিখিল ঘটক


এসো পতিতপাবন গুরু গো
এসো ভক্তি মুক্তি করে।
এসো গো গুরু, ব'সো গো গুরু
থাকো হৃদয়প'রে।।

অজ্ঞান আঁধার ঘুচায়ে দাও গো
জ্ঞানাঞ্জন কর দান,
তোমার প্রেম পুলকে ভাসাও হৃদয়
নাচিয়া উঠুক প্রাণ।
তুমি জ্যোতির্ময় হাসো গো
তুমি হৃদয় আকাশে ভাসো গো,
আজি তোমারই দীন হীন তনয়
ডাকিছে আবেগ ভরে।।

পরমেশ কে বা জানে মহিমা তোমার

কথা - শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
সুর - শ্রী নিখিল ঘটক

পরমেশ কে বা জানে মহিমা তোমার
ঐ যে কুসুমগণ দুলতেছে অনুক্ষণ
ঐ যে বিহঙ্গকুল রূপে যার নাহি তুল
নেচে নেচে গাহিতেছে করুণা তোমার।।

ঐ হের কল্লোলিনী কুল কুল প্রবাহিণী
কুলু শব্দে প্রক্ষালিছে চরণ তোমার।।

জগতের যত প্রাণী তোমারে ঈশ্বর মানি
নমিতেছে সদা তারা চরণে তোমার।।